ঢাকা,শনিবার, ৪ মে ২০২৪

চকরিয়ায় সংগ্রহ কার্যক্রমেধান বিক্রি করছেন কৃষাণীরা: ১২ দিনে ৪৯ মেট্রিক টন ধান সংগ্রহ

চকরিয়ায় সংগ্রহ কার্যক্রমে আওতায় চিরিঙ্গা খাদ্য গুদামে উপস্থিত হয়ে ধান বিক্রি করছেন কৃষাণী শারমিন আক্তার।

নিজস্ব প্রতিবেদক, চকরিয়া ::

চকরিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার মনিটরিংয়ে খাদ্য মন্ত্রণালয়ের অধীনে উপজেলার ধান সংগ্রহ কার্যক্রমে গ্রামীণ জনপদে ব্যাপক উচ্ছ্বাস দেখা দিয়েছে। বিশেষ করে সরকারি নির্দেশনার আলোকে গ্রামীণ পর্যায়ে কৃষকের কাছ থেকে সরাসরি ধান কেনার ঘোষনা দেয়ার পর থেকে উপজেলার বিভিন্ন অঞ্চলের কৃষকরা সরকারি সুবিধার আওতায় ধান বিক্রি করতে প্রতিদিন জড়ো হচ্ছে চিরিঙ্গা খাদ্য গুদামে। সাধারণ কৃষকদের পাশাপাশি সরকারের কাছে এবার ধান বিক্রি করতে আসছেন অনেক কৃষাণী। মঙ্গলবার চিরিঙ্গা খাদ্য গুদামে দেখা গেছে সেই ধরণের চিত্র। খাদ্য গুদামে ধান বিক্রি করতে এসেছেন উপজেলার পশ্চিম বড় ভেওলা ইউনিয়নের কৃষাণি শারমিন আক্তার। তিনি এদিন সরকার নির্ধারিত প্রতিকেজি ২৬ টাকা দামে ধান বিক্রি করেছেন।

বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করেছেন চিরিঙ্গা খাদ্য গুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সুনীল দত্ত। তিনি বলেন, আমাদের সঙ্গে চুক্তি মোতাবেক কৃষাণী শারমিন আক্তার তিন মেট্রিক টন ধান বিক্রি করবেন। মঙ্গলবার তিনি কিছু পরিমাণ ধান গুদামে এনেছেন। বুধবার অবশিষ্ট ধান বিক্রি করে তিনি চুক্তি মোতাবেক তিন মেট্রিক টন ধান বুজিয়ে দিয়ে টাকা গ্রহন করবেন।

ওসি সুনীল দত্ত বলেন, ধান চাল সংগ্রহ অভিযান শুরু হয়ে মঙ্গলবার পর্যন্ত ১২ দিনে গ্রামের পান্তিক কৃষকরা প্রায় ৪৯ মেট্রিক টন ধান সরকার নির্ধারিত মুল্যে চিরিঙ্গা খাদ্য গুদামে মজুদ করেছেন। বর্তমানে গ্রামের কৃষকরা প্রতিদিন ধান বিক্রি করতে গুদামে আসছেন। আমরা ধানের মান যাছাই করে ভালো মানের ধান সংগ্রহ করছি।

জানা গেছে, খাদ্য মন্ত্রণালয়ের অধীনে সরকারি নীতিমালার আলোকে কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলায় এবছর সরকারি নিবন্ধনভুক্ত চালকলের মাধ্যমে ৯৮২ মেট্রিক টন চাল ও সরাসরি কৃষকের কাছ থেকে ৫৫৬ মেট্রিক টন ধান সংগ্রহ করবে। একইভাবে পেকুয়া উপজেলায় ৩৬১ মেট্রিক চাল ও ২১১ মেট্রিক ধান সংগ্রহ হবে। গত ১৬ মে চকরিয়া উপজেলার ধান চাল সংগ্রহ অভিযান উদ্বোধন করেছেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ ফজলুল করিম সাঈদী। উদ্বোধনের পর থেকে আগামী ৩১ আগষ্ট পর্যন্ত এই কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।

অপরদিকে সংগ্রহ অভিযান চালুর পর চিরিঙ্গা খাদ্য গুদামে উপস্থিত থেকে সংগ্রহ কার্যক্রম তদারকি করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নুরউদ্দিন মুহাম্মদ শিবলী নোমান। এরপর সরকারি নির্দেশনার আলোকে ধান সংগ্রহ কার্যক্রম ত্বরান্বিত করতে উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে কৃষকের বাড়িতে যান ইউএনও’র নেতৃত্বে উপজেলা প্রশাসনের কর্মকর্তাবৃন্দ।

পরিদর্শনকালে ইউএনও’র সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন চকরিয়া উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. আতিক উল্লাহ, উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা মো. নাজমুল হোসাইন, উপজেলা খাদ্য কর্মকর্তা সফিউদ্দিন আহমদ, চিরিঙ্গা খাদ্য গুদামের ওসি সুনীল দত্ত, উপজেলা কৃষি বিভাগের উপ-সহকারী কর্মকর্তা মো.মহিউদ্দিন, চিরিঙ্গা খাদ্য গুদামের কর্মকর্তা মোহাম্মদ রফিক, সরকারি নিবন্ধনভুক্ত চালকল মালিক, সাধারণ কৃষক, ধান চাল সংগ্রহ কমিটির সকল সদস্যবৃন্দ।

চকরিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ( ইউএনও) নুরুদ্দিন মুহাম্মদ শিবলী নোমান বলেন, সরকারি নিদের্শনার আলোকে সরাসরি কৃষকদের কাছ থেকে ধান কেনা হবে। সেইজন্য খাদ্য বিভাগের পক্ষথেকে সবধরণের প্রস্তুতি রয়েছে। কৃষকরা চাইলে চিরিঙ্গা খাদ্য গুদামে এসে ধান বিক্রি করতে পারবে। প্রয়োজনে কৃষকের বাড়িতে গিয়ে সরাসরি ধান সংগ্রহ করা হবে। তবে ধান ক্রয়ের ক্ষেত্রে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নির্দেশনা ও তদারকি থাকবে। #

পাঠকের মতামত: